নীলা
“”””””” কলমে -সুজন
প্রথম পর্ব
————
সন্ধ্যা থেকেই মনটা আনচান করছে নীলার, মনটা কু-ডাকছে। অভির অফিস ছুটি হয় পাঁচটার সময় , বাড়ি ফিরতে সাতটা বেজে যায়। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে নীলা দেখল ছয়টা বেজে ত্রিশ মিনিট!
এখনও ত্রিশ মিনিট বাকি আছে, তবুও কেন এমন হচ্ছে আজ !
একবার ফোন করবে অভিকে?
না, থাক অভি এখন ট্রেন থেকে নেমে হয়তো সাইকেলে আছে , রাস্তায় ফোন ধরতে নীলায় বারণ করেছে অভি কে,
ফোনের আলো নিভিয়ে দিল নীলা ।
টিভি চলছে, নীলার বেডরুমেই টিভি, একটি ব্লাঙ্কেট পায়ের উপর দিয়ে হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে দিল নীলা, শীতটা কমেছে জানুয়ারী মাসের আজ শেষ দিন, দু একদিনের মধ্যে মাইনা পেলে দুজনে মিলে নিয়ে শপিং এ যাবে ।
বাড়ির অমতে দুজনে পালিয়ে বিয়ে করেছে গতমাসে, ওদের নতুন সংসার। কেনাকাটা করতে হবে।
অভি মানে অভিক রায়, মস্ত ধনীর ছেলে।
অভির বাড়ি থেকে কোনো ভাবেই মেনে নেয়নি ওদের সম্পর্ক।
ওদিকে নীলার বাড়িতেও অমত, নীলার জন্য যথেষ্ট ভালো পাত্র দেখেছিল নীলার বাবা, কোনো দিকে আশ্রয় পায়নি তারা। তাই একরকম বাধ্য হয়ে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে ওদের।
কৃষ্ণনগরের একটা ভাড়া বাড়িতে উঠেছে ওরা ।
প্রথম কয়েক দিন অভি সমস্ত দিন বাড়ি থাকত , এখন দশটা বাজলে অফিসে বেরিয়ে যায় অভি, তার পর সব শূন্য!
কতদিন বাড়ি থেকে এসেছে সে, খুব মনে পড়ছে বাড়ির কথা, নীলার সাধের বেড়াল টা, সারাদিন যে পায়ে পায়ে ঘুরত , কি করছে সে এখন!
আর ফুলগাছ গুলো, কেউ কি জল দেয়, নাকি শুকিয়ে গেছে অযত্নে!!
মনটা বিষন্ন হয়ে আসল নীলার, রিমোট দিয়ে টিভি অফ করে দিল,
এক কাপ চা বা কফি কেউ করে দিলে!
বাড়ি থাকলে মা বলে চিল্লালে চলে আসত চা…
মোবাইলের ডাবল ট্যাপ করে, দেখল সাতটা বাজতে পাঁচ।
আলনা টা গোছাতে গোছাতে কলিংবেল বেজে উঠল,, দরজা খুলে অভিকে দেখে, নীলা স্থির হয়ে গেল,
জামাটা রক্তে ভেসে গেছে, বাম হাতটা সাদা ব্যাণ্ডেজ রক্তে লাল ….
অভিকে ঘরে নিয়ে গিয়ে বসিয়ে দিল নীলা….
#কেমন লাগলো কমেন্টে জানাবে/ জানাবেন , পরবর্তী পার্ট নিয়ে আসছি খুব তাড়াতাড়ি…

Leave a comment